সর্বশেষ আপডেট : ১৫ ঘন্টা আগে
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সোনতলায় চাঁদা না দেওয়ায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা : সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

সিলেট নগরের জালালাবাদ থানার সাদিপুর সোনতলা গ্রামে নিজেদের ক্রয় করা জমিতে প্রাচীর নির্মাণ করতে পারছেন না জকিগঞ্জের সরিষা মানিকপুর গ্রামের মৃত ময়নুল হকের ছেলে মো. মুফিকুল হক। উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করা হচ্ছে। একটি চাঁদাবাজ চক্র চাদা না পেয়ে প্রাচীর নির্মাণে বাধা দিচ্ছে এবং অপপ্রচার করে হয়রানি করছে। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মো. মুফিকুল হক।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সিলেট সদর উপজেলার সাদিপুর দিঘর মৌজায় ২০২২ সালে আমি মো. মুফিকুল হক, আমার ভাই মো. শফিকুল হক, আমার ভাগনা নাজমুল ইসলাম তাপাদার এবং মামা শশুর যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল ওদুদ ওরফে ফয়সল পৃথক ৪টি দলিলে বিএস রেকর্ডিয় মালিক আজিরুন নেছার কাছ থেকে ২৭ শতক ৮০ পয়েন্ট জায়গা ক্রয় করি। এর মধ্যে ১২ শতক ভূমি আমাদের এক নিকটাত্মীয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। জায়গা ক্রয়ের পর আমরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করি। একপর্যায়ে স্থানীয় একটি চক্র আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তারা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে দিবে না বলে হুমকি দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাঁদাবাজদের হুমকির মধ্যেও আমরা সীমানা প্রাচীরের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করতে পারি। আমরা প্রাচীর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে গেলে গত ১ জানুয়ারি ওই চক্র আবারও আমাদেরকে বাধা দেয় এবং প্রকাশ্যে চাঁদা দাবি করে। এমনকি আমাদের নির্মাণকৃত দেয়ালের ১২টি পিলার ভেঙ্গে ফেলে।’

মুফিকুল হক জানান, গত ৫ জানুয়ারি তিনি বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় সাদিপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর পুত্র শুকুর আলী ওরফে শোক উদ্দিন, তার পুত্র শাকিল আহমদ, মইয়ারচর গ্রামের আলাউদ্দিনের পুত্র মানিক মিয়া, নগরীর লামাবাজার এলাকার আকবর আলীর পুত্র জাবেদ মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধিন রয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মইয়ারচরের পিয়ারুন নেছা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন বলে জানান মুফিকুল হক। তিনি বলেন, ‘পিয়ারুন নেছা আমার বিরুদ্ধে তার আত্মীয় জাবেদ মিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির যে অভিযোগ করেছেন, তা সত্য নয়। আমাদের নিকট যারা চাঁদা দাবি করেছেন শুধু তাদের বিরুদ্ধেই আমি চাঁদাবাজির মামলা করেছি।’ পিয়ারুন নেছাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগও অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আমরা কোনো মামলা করিনি। বরং পিয়ারুন নেছা চাঁদাবাজ চক্রের ইন্ধনে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছেন। পিয়ারুন নেছা ওই জায়গা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে দাবি করেছেন। কিন্তু সাদিপুরের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার আব্দুল আলীর স্ত্রী আজিরুন নেছা ২২ বছর এবং এর পূর্বে শরিয়ত উল্লাহ ওরফে কুটি মিয়া, সাজিদ আলী এবং তৈয়ব আলী ওই জায়গার মালিক ছিলেন এবং সবমিলিয়ে ৬৬ বছর তাদের ভোগদখলে ছিল।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘পিয়ারুন নেছো গং ওই ভূমি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করলে এলাকার মুরব্বিরা এ বিষয়ে সালিশ ডাকেন। কিন্তু তারা সালিশে আসেননি। এমনকি কাগজ নিয়ে থানায় আসতে বলা হলেও তারা কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি।’ তিনি বলেন, ‘মূলত তাদেরকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলে তারা আমাদেরকে কোনো বাধা প্রদান করবে না বলে জানিয়েছেন। আমরা আশা করছি তদন্তে তাদের চাঁদা দাবির বিষয়টি উঠে আসবে এবং আমরা ন্যায়বিচার পাব।’ মুফিকুল হক এই চক্রের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান এবং ন্যায়বিচার পেতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: